চাঁদের মাটি থেকে পানি উৎপাদন চীনের বিজ্ঞানীদের
চাঁদের মাটি থেকে পানি বের করতে সফল হয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা সিসিটিভির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
২০২০ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদে নভোচারীসহ চন্দ্রযান পাঠায় চীন। এই চন্দ্রাভিযানের নাম ছিল চেং’ই-৫।
অভিযানে অংশ নেওয়া নভোচারীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে চাঁদের মাটি এনেছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ওই মাটিতে বিভিন্ন খনিজের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন রয়েছে এবং মাটিতে উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হলে খনিজগুলোর সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় জলীয় বাস্প সৃষ্টি হচ্ছে।
সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “তিন বছর গভীর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পর আমাদের বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে চাঁদের মাটি থেকে পানি আহরণ সম্ভব। অদূর ভবিষ্যতে যদি মানুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে স্পেস স্টেশন কিংবা গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়, এসব তথ্য খুবই কাজে লাগবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার।”
চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গবেষণায় যে পদ্ধতি তারা ব্যবহার করেছেন— সেই পদ্ধতিতে চাঁদের প্রতি এক টন মাটি থেকে সর্বনিম্ন ৫১ থেকে সর্বোচ্চ ৭৬ লিটার পানি উৎপাদন সম্ভব।
বস্তুত, বহু বছর ধরে চাঁদের মাটিতে খনি অনুসন্ধান তৎপরতা শুরু করতে চাইছে চীন। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে দেশটির।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার শীর্ষ নির্বাহী বিল নেলসন সম্প্রতি ওয়াশিংটনকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, বেইজিংকে থামানো না গেলে ভবিষ্যতে চাঁদের অধিকাংশ খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চল চীনের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ