ইরানে ভাগ্য গণকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
নারী ও তরুণীদের যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের অভিযোগে ইরানে এক ভাগ্য গণকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার ইরানের বিচার বিভাগ দেশটির মধ্যাঞ্চলে ওই পুরুষ গণকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগ পরিচালিত সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইন বলছে, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রধান বিচারপতি হোসেইন তাহমাসেবি বলেছেন, ‘‘একজন ভাগ্য গণক, যিনি নারী ও মেয়েদের যৌন নিপীড়ন করেছিলেন, ইয়াজদ কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’’
‘‘ইয়াজদের বিপ্লবী আদালত ওই ধর্ষক গণকের সাজা ঘোষণা করার পর সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করে। পরে তা কার্যকর করা হয়েছে।’’
বিচারপতি হোসেইন তাহমাসেবি বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করার জন্য ভবিষ্যৎ বলতে পারেন বলে ভান করেছিলেন। পরে এই অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিলেন তিনি।
মিজান অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ভাগ্য গণককে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চের কোন এক সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকায় সাধারণ ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান রয়েছে।
এর আগে, গত বছরের জুলাইয়ে দেশটিতে প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া কসমেটিক সার্জারি ক্লিনিকে নিয়ে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে নারীদের ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০২১ সালের শেষের দিকে ইরানের হরমোজগান প্রদেশে যৌন নিপীড়নের ১২টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তারা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতে, বিশ্বে কেবল চীন ছাড়া অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় প্রতি বছর ইরানে সর্বাধিকসংখ্যক মানুষের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হয়। দেশটিতে সাধারণত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সূত্র: এএফপি।
এসএস