কাদের-কামালের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ৬ কংগ্রেস সদস্যের চিঠি
বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা এবং পুলিশি-বিজিবিকে আন্দোলনকারীদের ‘দেখামাত্র গুলি’র নির্দেশ দেওয়ার দায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের ৬ সদস্য।
এই সদস্যরা হলেন— লয়েড ডগেট, এডওয়ার্ড জে মার্কি, উইলিয়াম আর কিটিং, ক্রিস ভন হলেন, জেমস পি ম্যাকগভার্ন ও অল গ্রিন। এরা সবাই কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য।
লয়েড ডগেট তার এক্স অ্যাকাউন্টে সেই চিঠিটির অনুলিপি প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের সাবেক সরকার সম্প্রতি দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘণ সংক্রান্ত গুরুতর যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে, সেসব নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং সেই উদ্বেগ থেকে আপনাকে আমরা এই চিঠি দিচ্ছি। গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী (বিজিবি) নিয়োগ করে বাংলাদেশের সরকার। পরের সপ্তাহে সশস্ত্র বাহিনীকেও নিয়োগ করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তির পর থেকে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী আন্দোলন দমনে নির্বিচারে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট এবং একপর্যায়ে প্রাণঘাতী বুলেট ব্যবহার করেছে। এতে প্রাণহানি হয়েছে দুই শতাধিক মানুষের, আহত হয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি। এছাড়া বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী মতামতকে দমন করে আসছে এবং তারই সর্বোচ্চ উদাহারণ ছিল এসব কর্মকাণ্ড।"
“যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দায় কোনোভাবেই কম নয়। আন্দোলন দমনে তারা প্রথমে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং পরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী নিয়োগ করেছে। গত ৪ আগস্ট ছিল সেই আন্দোলনের সর্বোচ্চ পর্যায়। সেদিন বাংলাদেশজুড়ে শতাধিক মানুষ নিহত হন।"
মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘণে সংশ্লিষ্টতার জন্য আমরা ওবায়দুল কাদের এবং আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আপনার (অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন) প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।”
এসএমডব্লিউ