ইসমাইল হানিয়ার স্মরণে শোক পালন করছে পাকিস্তান-তুরস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন দিন দুয়েক আগেই। শুক্রবার (২ আগস্ট) তার লাশ দাফন করা হবে কাতারের দোহায়।
এদিকে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান ও তুরস্ক। দেশ দুটি শুক্রবার এই শোক পালন করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার জন্য শুক্রবার পাকিস্তানে শোক পালন করা হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এর আগে হামাস প্রধানের এই হত্যাকাণ্ডকে বর্বর কাজ বলে অভিহিত করেন।
এছাড়া এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ইসরায়েলি দুঃসাহসিকতা’ বলে নিন্দা করেছে। এটি গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে বলেও জানানো হয়।
এছাড়া সন্ধ্যায় ইসমাইল হানিয়ার সমর্থনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে জড়ো হয়েছিলেন। এর আগে গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের একজন উপদেষ্টা নেতানিয়াহুকে ‘সন্ত্রাসী এবং যুদ্ধাপরাধী’ বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার স্মরণে শুক্রবার শোক দিবস ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, ‘ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি এবং আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের সাথে সংহতি জানাতে আগামীকাল জাতীয় শোক পালন করা হবে।’
রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার কাতারে ইসমাইল হানিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও যোগ দেবেন। এর আগে বুধবার তেহরানে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভাঙতে পারবে না।
এর আগে ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। গত বুধবার রাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনপন্থী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন
ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভকারীরা হানিয়ার ছবি ও ব্যানার সম্বলিত পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ‘‘শহীদ হানিয়া, জেরুজালেম আমাদের এবং আপনার পথই আমাদের পথ’’ লেখা দেখা যায়। ইস্তাম্বুলের ফাতিহ জেলায় মিছিলের সময় তুর্কি ও ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে বিক্ষোভকারীরা ‘‘খুনী ইসরায়েল, ফিলিস্তিন থেকে বেরিয়ে যাও’’, ‘‘গাজার প্রতিরোধে ইস্তাম্বুল থেকে সহস্র অভিবাদন’’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
প্রসঙ্গ, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইরানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। হানিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বৃহত্তর যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
টিএম