ভেনেজুয়েলায় আর্জেন্টিনা-পেরুর দূতাবাসের দায়িত্ব নিলো ব্রাজিল
সদ্য অনুষ্ঠিত ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর জয় নিয়ে সমালোচনা করায় আর্জেন্টিনা ও পেরুর কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে ভেনেজুয়েলার সরকার। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনা ও পেরুর দূতাবাসের দায়িত্ব নিয়েছে ব্রাজিল।
দূতাবাসের দায়িত্ব নেওয়ায় এখন ভেনেজুয়েলায় আর্জেন্টিনা ও পেরুর নাগরিকদের বিষয়ে ব্রাজিল মধ্যস্থতা করবে। ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিরোধী দলীয় ছয়জন রাজনীতিক আর্জেন্টিনা দূতাবাসে আশ্রয় চেয়েছিলেন। বর্তমানে তারা আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, কারাকাসে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ব্রাজিলের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। তবে পরে নামিয়ে ফেলা হয়। যদিও আর্জেন্টাইন দূতাবাসে ব্রাজিলের পতাকা উত্তোলন এবং পরে নামিয়ে ফেলার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই লিখেছেন, আমি দূতাবাসের হেফাজতের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ব্রাজিলের আগ্রহের প্রশংসা করি। আমার কোনও সন্দেহ নেই, আমরা শিগগিরই মুক্ত ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলায় আমাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করব।
মাদুরোর সমাজতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনাকারী উদার-ডানপন্থী মাইলি এর আগে বলেছিলেন, গত রোববার তারা (মাদুরোর সরকার) যে প্রতারণা করেছে, তার নিন্দা জানানোয় স্বৈরশাসক মাদুরোর প্রতিশোধ নেওয়ায় আর্জেন্টাইন কূটনীতিকদের কারাকাস ত্যাগ করতে হয়েছে।
বিতর্কিত নির্বাচনী ফল নিয়ে সমালোচনা করায় আর্জেন্টিনা ও অন্য পাঁচ দেশ—চিলি, কোস্টারিকা, পানামা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র এবং উরুগুয়ের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে ভেনেজুয়েলা। লিমার বিরোধীনেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজকে ভেনেজুয়েলার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর কারাকাসও পেরুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ভেনেজুয়েলার ইলেক্টোরাল কাউন্সিল ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরোকে এবারের নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা দিয়েছে। লেক্টোরাল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাদুরো। কিন্তু দেশটির বিরোধী দলীয় রাজনীতিকরা বলেছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটের গণনায় বিরোধীনেতা গঞ্জালেজ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি সমর্থন পেয়েছেন বলে তারা দেখেছেন।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস