গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা রোববার জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
কেন্দ্রীয় গাজার নুসেইরাত ক্যাম্পে জাতিসংঘ পরিচালিত আবু আরবান সাইটে এই হামলা গত আট দিনের মধ্যে স্কুল-আশ্রয় কেন্দ্রে ইসরায়েলের পঞ্চম হামলা।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, আবু আরবান স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোকের বাসস্থান ছিল। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বিমান বাহিনী ‘নুসেইরাতের ইউএনআরডব্লিউএ-এর আবু আরবান স্কুল ভবন এলাকায় কর্মরত বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে’।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ভবনটি ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর ‘আক্রমণ’ করার জন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এএফপিটিভির ছবিতে দেখা গেছে, হামলার শিকার তিন তলা কমপ্লেক্সটির রেলিংয়ের ওপরে কাপড় ও বিছানা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। জাতিসংঘের লোগো সম্বলিত একটি দেয়ালও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভেতরের ঘরগুলোও গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
টিএম