ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিহত
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের এক ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কর্মকর্তার নাম হানি আল-জাফরাভি। তিনি গাজা উপত্যকার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি বিভাগের পরিচালক ছিলেন।
ভূখণ্ডটির একটি ক্লিনিকে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে হত্যা করে। সোমবার (২৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের দারাজ ক্লিনিকে ইসরায়েলের গোলাবর্ষণে উপত্যকাটির অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি বিভাগের পরিচালক হানি আল-জাফরাভি নিহত হয়েছেন।
— (@PalinfoAr) June 23, 2024
ভূখণ্ডটির মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গাজার স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে ইসরায়েলি বাহিনী পদ্ধতিগতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা সত্ত্বেও তারা চিকিৎসা সম্পর্কিত মানবিক দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
এদিকে গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৫৯৮ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় আরও ৮৬ হাজার ৩২ জন মানুষ আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৪৭ জন নিহত ও আরও ১২১ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
টিএম