২০ বছর পর সমলিঙ্গ বিয়ের অনুমোদন দিলো থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমলিঙ্গ বিয়ের অনুমতি দিয়েছে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট। আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে।
এলজিবিটি অধিকারকর্মী এবং রাজনীতিবিদদের প্রচেষ্টায় দুই দশকেরও বেশি সময় আগে এই বিলটি পার্লামেন্টে আনা হয়েছিল; কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এত বছর সময় লাগল সেটি পাস হতে।
পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ রাথাসাফায় (জাতীয় পরিষদ) আগেই পাস হয়েছিল বিলটি। এখন সিনেটে পাস হওয়ার পর সেটি থাইল্যান্ডের রাজার দরবারে পাঠানো হবে। রাজা অনুমোদন দিলেই আইনে পরিণত হবে বিলটি।
দীর্ঘ দুই দশক পর সিনেটে বিলটি পাস হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন থাইল্যান্ডের সমলিঙ্গের বিবাহের পক্ষে থাকা অধিকার কর্মী এবং রাজনীতিবিদরা। সমলিঙ্গের বিয়ে সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য প্লেইফাহ কায়োকা শোদলাদ রয়টার্সকে বলেন, ‘আধুনিক যুগে প্রেম-ভালবাসাকে কোনো সংস্কার দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। গত ২০ বছর ধরে আমরা এই কথাটি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি এবং আজ সফল হয়েছি।’
‘সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার মধ্যে দিয়ে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো। এই মাইলফলকের কারিগর হিসেবে আমরা খুবই গর্বিত।’
আইনটি পাস হওয়ার পর আনন্দ-উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষের লোকজন ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে। পার্লামেন্ট থেকে সড়ক— সব জায়গায় এলজিবিটির প্রতীক রংধনু পতাকা উড়িয়ে সিনেটের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সমলিঙ্গের বিবাহ অনুমোদনের ক্ষেত্রে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রথম হলেও পুরো এশিয়ায় থাইল্যঅন্ড তৃতীয়। এর আগে নেপাল ও তাইওয়ানের পার্লামেন্টে এ আইন পাস হয়েছে।
এশিয়ার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র থাইল্যান্ড এলজিবিটি সংস্কৃতির প্রতি বেশ সহনশীল। জুনের শুরুর দিকে এলজিবিটি সমাজভুক্ত লোকজন ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে রাজধানী ব্যাংককে পদযাত্রা করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাবিসিন। সেই পদযাত্রায় তিনি এলজিবিটির প্রতীক রংধনু প্রিন্টের শার্ট পরেছিলেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ