‘প্রাণহীন শিশুটির মুখে তখনো খাবার ছিল’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে আজ শনিবার ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এদিন তারা নুসেইরাত থেকে চার জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করে।
তবে চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে নুসেইরাতে গণহত্যা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় আজ সেখানে ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের আওদা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে এক শিশুর মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। তার মুখে তখনো খাবার ছিল। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময় সে হত্যার শিকার হয়েছে।
তিনি বলেছেন, “আমাদের ওপর বোমা ফেলা হচ্ছিল এবং হাসপাতালের ওপর হেলিকপ্টার ঘুরছিল… আমরা হাসপাতালের মধ্যেও নড়াচড়া করতে পারছিলাম না। কোয়াডকপ্টার ড্রোন দিয়ে ওপর থেকে আমাদের দিকে গুলি ছোড়া হচ্ছিল। হাসপাতালের বাইরে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। কিন্তু তাদের উদ্ধার করতে আমরা বাইরে যেতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল থেকে টানা ৩০ মিনিট বের হতে পারেনি। এরপর আমরা আর কোনো রোগীকে হাসপাতালে আনতে পারিনি। কারণ সেখানে তখন অনেক রোগী ছিল। নিহত অনেককে আমাদের হাসপাতালের বাইরে রাখতে হয়েছে। অনেকের আঘাত গুরুতর ছিল। যার মধ্যে অঙ্গ বিচ্ছিন্নও ছিল।”
এই স্বাস্থ্যকর্মী আরও বলেছেন, “যারা আহত বা নিহত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই শিশু। আমি এক মৃত শিশুকে দেখেছি যার মুখে তখনো খাবার ছিল। খাবার খাওয়ার সময় সে হত্যার শিকার হয়েছে। আপনি ভাবতে পারেন? নিহতদের মধ্যে অনেক মেয়ে শিশু ছিল।”
সূত্র: মিডেল ইস্ট আই
এমটিআই