বেলুনে করে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘ময়লা ও মল’ ফেলল উত্তর কোরিয়া
অন্তত ২৬০টি বেলুনের সঙ্গে ময়লা ও মলের ব্যাগ বেঁধে সেগুলো দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষকে ঘরের ভেতর থাকতে সতর্ক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সাদা রঙের এসব বেলুন এবং এগুলোর সঙ্গে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ না ধরতে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে দেশটি। কারণ এগুলোর ভেতর নোংরা বর্জ্য এবং আবর্জনা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ৯টি প্রদেশের মধ্যে ৮টিতে এসব বেলুন পাওয়া গেছে এবং এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
১৯৫০ সালের কোরিয়ার যুদ্ধ থেকে বেলুন ব্যবহার করে প্রোপাগান্ডা কার্যক্রম চালিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশই।
দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকারকর্মীরা প্রায়ই উত্তর কোরিয়ায় বেলুনের মাধ্যমে বিভিন্ন লিফলেট ও অন্যান্য জিনিসপত্র পাঠান। এসব কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে উত্তর কোরিয়া হুমকি দেয়, তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
গত রোববার উত্তর কোরিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী দ্বিতীয় কিম ক্যাং এক বিবৃতিতে বলেন, “কয়েকদিন পরই ময়লা কাগজ এবং নোংরা বর্জ্য দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতর ও সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। এতে (তারা) বুঝবে এসব ময়লা পরিষ্কারে কত কষ্ট করতে হয়।”
আরও পড়ুন
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ— দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এবং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠায়। ওই বার্তায় তাদের বাইরের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়।
এছাড়া যদি ‘অজ্ঞাত কোনো বস্তু’ পাওয়া যায় তাহলে স্থানীয় থানা অথবা সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে অবহিত করতেও অনুরোধ জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে সাদা বেলুনের ভেতর থাকা ব্যাগে টয়লেট পেপার, কালো মৃত্তিকা, ব্যাটারিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, কিছু বেলুনের ভেতর থাকা বর্জ্য দেখে মনে হয়েছে ‘এগুলো মল’।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বেলুন পাঠানোর ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, ময়লা ফেলার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণের অধিকারকর্মীরা বেলুনে করে লিফলেট ছাড়াও নগদ অর্থ, নিষিদ্ধ মিডিয়া কনটেন্ট এবং চকো পায়ার স্নিকার পাঠায়— যেটি উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই