পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস, মাটির স্তূপে ‘জীবন্ত কবর’ শতাধিকের
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বড় আকারে ভূমিধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে দেশটির কাওকালাম গ্রামে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।
কাওকালাম গ্রামের বাসিন্দা নিঙ্গা রোলে টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, ভূমিধসে অন্তত ৫০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়েছিলেন, তাই দুর্যোগের সময় অধিকাংশই বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। ফলে, এই ৫০টি বাড়িতে বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে অল্প কয়েকজন বাদে বাকি সবার মৃত্যু হয়েছে জীবন্ত অবস্থায় মাটিচাপা পড়ে।
কাওকালাম গ্রামটির পাপুয়া নিউগিনির এঙ্গা প্রদেশে, রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে। নিঙ্গা রোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করেছেন। সেসব ফুটেজে দেখা গেছে, লোকজন ধ্বংস্তূপ থেকে পাহাড় ও গাছের শেকড় বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছেন।
রয়টার্সকে রোলে বলেন, ‘গ্রামের যে এলাকায় ভূমিধস হয়েছে, সেটি খুব দুর্গম। ওই এলাকার প্রায় চারপাশ ঘিরে পাহাড় আর বড় বড় গাছ। ফলে যারা বেঁচে আছে এখনও, তাদের সেখান থেকে বের করে আনা কঠিন।’
পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভূমিধস কবলিত এলাকাটি দুর্গম এবং সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চলাতে আমরা ইতোমধ্যে দুর্যোাগ মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও সেনাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করেছি। এছাড়া মাটির স্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার, সৎকার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কাওকালাম গ্রামের কাছেই পোরগেরা স্বর্ণ খনি। সেই খনির একাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিধসের কারণে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বর্ণ আহরণের জন্য খনি অঞ্চলে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িই এ ধসের কারণ।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ