প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। নিখোঁজ হওয়া ইরানের এই প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এমন অবস্থায় ইব্রাহিম রাইসিকে অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া। সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির সন্ধানে সহায়তার জন্য রাশিয়া ইরানে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, রাশিয়ার এই দলটিতে ৪৭ জন বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী, বেশ কয়েকটি যানবাহন যা উঁচু-নিচু ও অসমতল ভূমিতে চলতে পারে এবং একটি হেলিকপ্টার রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, উদ্ধারকারী এই সরঞ্জামগুলো এখন লোড করা হচ্ছে এবং পরে ইরানের তাবরিজ শহরে সেটি পাঠানো হবে। দুর্ঘটনার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট এই শহরেই গিয়েছিলেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী দলটির সবাই উচ্চ উচ্চতায় সবচেয়ে কঠিন কাজ করতে প্রস্তুত। কুয়াশাসহ আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমাদের বিশেষজ্ঞরা সেই উদ্ধার প্রচেষ্টায় যোগ দেবেন।’
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির অনুসন্ধান প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য রাশিয়া ৪৭ জন উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞ এবং একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছে বলে রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইরানের তাবরিজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে রাশিয়ার ঝুকভস্কি বিমানবন্দরে বিশেষ এই সরঞ্জামগুলো লোড করা হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেখানে ভারী কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকার দৃষ্টিসীমা মাত্র পাঁচ মিটারে নেমে এসেছে।
এলাকাটির অবস্থান তাবরিজের উত্তরে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।
টিএম