মোদি শাসনের অবসান ঘটাতে পারে ‘ইন্ডিয়া’ জোট
ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সাবেক নেতা ও মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা দাবি করেছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির সরকারের অবসান ঘটাতে পারে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইন্ডিয়া’।
গত ১৯ এপ্রিল দেশটিতে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়। মোট সাত ধাপে ও ৪১ দিনে লোক সভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হবে। এরপর ৪ জুন ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মোদি সরকার এবারও নির্বাচনে জয় পাবে বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। তবে মোদির বিজেপির বিরুদ্ধে— কংগ্রেসের নেতৃত্বে গড়ে তোলা ‘ইন্ডিয়া’ জোট মোদি শাসনের অবসান ঘটাতে বলে বিশ্বাস কংগ্রেসের এই নেতার।
গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট করেন সঞ্জয় ঝা। এতে তিনি ১১টি পয়েন্ট উল্লেখ করে বলেন— এসব কারণে বিজেপি হারবে এবং তারা ৫৪৩টি আসনে মধ্যে সর্বোচ্চ ২১৫ থেকে ২২০টি আসন পাবে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি বিজেপি ও তার জোট দলগুলো দুইশোর নিচে আসন পেতে পারে বলে মনে কনে তিনি।
সঞ্জয় ঝা তার পয়েন্টগুলোতে বলেছেন—
ভোটাররা মিথ্যা ও প্রোপাগান্ডায় বিরক্ত। তারা কাউকে বিশ্বাস করে না। তবে ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা সবচেয়ে কম।
মোদিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্লান্তিভাব চলে এসেছে। বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অন্যান্য যেসব অভিযোগ তোলা হয় সেগুলো আর কাজে দেবে না। কারণ সাধারণ মানুষ বিজেপির মধ্যেও একই বা তার চেয়েও খারাপ জিনিস দেখছেন। তার মতে মোদিই বিজেপির সবকিছু।
মোদির মুসলিম/ সংখ্যালঘু বিরোধী মেরুকরণ কাজে দেবে না। বিষয়টি তার নিরপেক্ষতা আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
মোদি ও বিজেপি ভেবেছিল রাম মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে নির্বাচনে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে সাধারণ মানুষ এখন আয়, বেকারত্ব, চাকরি-বাকরি এগুলো দেখে।
তিনি তার পোস্টে আরও বলেছেন, কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে বিজেপি চরম ভুল করেছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে একটি ধারণা ঢুকেছে যে, বিজেপি ভয় ও ঘৃনাকে নিয়ে এগিয়ে চলছে।
এছাড়া নতুন প্রজন্মের ভোটাররা পার্থক্য গড়ে দেবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তার মতে, বিজেপি নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কোনো কথা বলছে না। কিন্তু এই প্রজন্মই রাজনীতির সবকিছু সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে জানে।
এমটিআই