করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়েছে ১৭টি দেশে
ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি বিশ্বের ১৭টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সংস্থাটি একথা জানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, করোনার নতুন ধরন বি.১.৬১৭-র সন্ধান প্রথম পাওয়া যায় ভারতে। এবার ভাইরাসের এই ধরনটি নিজেদের দেশেও পাওয়া গেছে বলে জিআইএসএআইডি’র ডাটাবেসে জানিয়েছে কমপক্ষে ১৭টি দেশ।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, কোভিডের ভারতীয় স্ট্রেনের বেশিরভাগ সিকোয়েন্সই ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুর থেকে আপলোড করা হয়েছে।
ভারতে শনাক্ত ভাইরাসের এই ধরনটি অনেক বেশি সংক্রামক। গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে ভারতে দৈনিক ৯০ হাজারের কিছু বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি প্রতিদিন চার গুণ বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ভারতে করোনার নতুন ও ডবল মিউটেশনের খোঁজ মেলে। এরপর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে এসে যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। নতুন প্রজাতির ‘ই৪৮৪কিউ ও এল৪৫২আর’র প্রভাবেই সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, করোনার এই নতুন ধরনটি তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রামক। শুধু তাই নয়, টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধও ক্ষমতা কিছুটা হলেও ভাঙতে সক্ষম ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি। আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিকেও আবার আক্রান্ত করতে সক্ষম ভাইরাসের ডবল মিউটেশান। তাই বিজ্ঞানীরা ভারতের করোনার এই ধরন নিয়ে বেশি চিন্তিত।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জন। সর্বশেষ এই সংখ্যা নিয়ে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯৩ জন। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পার হয়েছে দুই লাখের ঘর। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জনে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস
টিএম