সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, ছেলের নির্মম মারধরে বাবার মৃত্যু (ভিডিও)
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। মূলত বিবাদের জেরে বৃদ্ধ বাবার মুখে একের পর এক ঘুষিসহ নির্মম মারধর করেন অভিযুক্ত ছেলে। সেই মারধরেই জ্ঞান হারান ওই বৃদ্ধ।
পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
— IndiaToday (@IndiaToday) April 29, 2024
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর পেরম্বলুরের। ছেলের মারধরে নিহত ওই বৃদ্ধের নাম কুলানধাইভেলু (৬৫)। গত ১৮ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ, বৃদ্ধের ছেলে সন্তোষ তাকে মারধর করেছিলেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বৃদ্ধকে। মারধরের কয়েক দিন পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বেঞ্চের ওপর বসে আছেন বৃদ্ধ। একপর্যায়ে হেঁটে তার সামনে এসে বৃদ্ধের মুখে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে শুরু করেন এক যুবক। মার খেয়ে পড়ে গেলেও বাবাকে রেহাই দিচ্ছেন না অভিযুক্ত ওই ছেলে।
— Amitabh Chaudhary (@MithilaWaala) April 28, 2024
একসময় তাকে থামতে দেখা যায়। মারের চোটে বৃদ্ধের নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। তিনি বেঞ্চের ওপরে এক দিকে হেলে পড়ে যান। তার পরেও আবার ফিরে এসে তাকে লাথি-ঘুষি মারতে শুরু করেন ওই যুবক।
এদিকে বৃদ্ধকে মারতে দেখে পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। যুবককে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর অসুস্থ, আহত বৃদ্ধকে বসিয়ে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বৃদ্ধ তাতে কোনও সাড়া দেননি। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
অবশ্য ভাইরাল এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন
এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আবার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। বৃদ্ধ বাবার ওপর যুবকের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছেন অনেকে। তার এই আচরণের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এই ঘটনা দেখে মানুষের মধ্যকার মানবিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
টিএম