গাজার রাফাহতে সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। হামলার আগে রাফাহর বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে খান ইউনিসে শত শত তাঁবু স্থাপন করেছে তারা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজায় হামাসকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাবেন। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক্ষেত্রে বাধা প্রদান করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাফাহতে হামলার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কবে হামলা চালানো হবে সে তারিখটি স্পষ্ট করেননি তিনি।
ওই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তারা ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছেন। যেগুলোর একেকটিতে ১০ থেকে ১২ জন থাকতে পারবেন। এসব তাঁবুতে রাফাহতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আসা হবে।
কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে রাফাহ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের খান ইউনিসে সারি সারি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলোজিসের ছবিতে দেখা গেছে, যেখানে তাঁবুগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেই জায়গাটি কয়েক সপ্তাহ আগেও খালি ছিল।
দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা কয়েকদিনের মধ্যেই রাফাহর বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। রাফাহ থেকে সাধারণ মানুষকে খান ইউনিসে সরিয়ে নিতে এক মাস সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম গোপন রাখা ইসরায়েলি ওই সামরিক কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, সেনারা রাফাহতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। তবে তারা এখন সরকারের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছেন।
মিসরের সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাফাহতে বর্তমানে ১৩ লাখ ফিলিস্তিনি রয়েছেন। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই