তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তারা প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এতে করে গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বেড়েছে। বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে দেশটির একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বুধবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
এতে করে ইতালির দিকে যাওয়া অভিবাসীবাহী নৌকাগুলোর সংখ্যায় তীব্র বৃদ্ধির মধ্যেই গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা স্ফ্যাক্সের উপকূল থেকে ২২ জনের মৃতদেহ এবং গেবসের উপকূলে আরও সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, তিউনিসিয়ার উপকূলে কয়েক ডজন মানুষ সমুদ্রে ডুবে গেছে। একইসঙ্গে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাওয়ার চেষ্টাও অনেক বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
আরও পড়ুন
মূলত যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তিউনিসিয়া সেসব অভিবাসীদের জন্য একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আর বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও।
উল্লেখ্য, সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর বহু মানুষ দারিদ্য ও সংঘাতময় জীবন থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাদের এই কাজে লিবিয়াকে ছাপিয়ে তিউনিসিয়ার উপকূলরেখা অভিবাসীদের কাছে প্রধান এক্সিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।
টিএম