৬০ পেরিয়েও কীভাবে এমন ছিপছিপে নীতা আম্বানি?
নীতা আম্বানির বয়স ৬০ পেরিয়েছে। তবে মুকেশ-পত্নীর চেহারা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠান হোক কিংবা ছেলের বিয়ের নাচে-গানে মাতিয়ে রাখেন নীতা। শুধু তার গয়না নয়, ফিটনেসও সমান নজরকাড়া।
এক সাক্ষাৎকারে নীতা জানিয়েছিলেন, বিয়ের সময় তার ওজন ছিল ৪৫ কেজি। তবে তিন সন্তানের জন্মের পর থেকে ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ কেজিতে। তবে সেই ওজনও কমিয়ে ফেলেছিলেন নিজের চেষ্টায়। কোন রুটিন মেনে এই বয়সেও নিজেকে ছিপছিপে রেখেছেন মুকেশ-পত্নী?
বিটের রস : খাওয়া-দাওয়ায় বাড়তি নজর থাকে নীতা অম্বানীর। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস বিটের রস খান তিনি। বিটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের মেদ গলিয়ে দেয়। আলাদা করে মেদ জমতে দেয় না বিট।
আরও পড়ুন
সবুজ শাকসবজি : খাবারের তালিকায় মাছ-মাংস না থাকলেও সবুজ শাকসবজি দিয়ে তৈরি খাবার থাকে বেশি। শাকসবজিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। মেদ ঝরিয়ে দেয়। সবজিতে থাকা প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেলস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ফল খাওয়া : রোগা হওয়ায় খাবার তালিকায় ফল থাকা বাধ্যতামূলক। এই পর্বে যত বেশি ফল খাওয়া যাবে, রোগা হওয়ার পথ তত মসৃণ হবে। নীতার সকালের হালকা খাবারে থাকে নানা ধরনের ফল। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরও একটি করে ফল খান তিনি। মাঝেমাঝেই ফলের রস বানিয়েও খান।
ডিটক্স পানীয় : সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে লেবু, পুদিনা দিয়ে বানানো ডিটক্স পানীয়তে চুমুক দেন। এই পানীয় শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বাইরে বের করে দেয়। গ্যাস, অম্বলের ঝুঁকি কমায়। হজমের গোলমাল থেকেও দূরে রাখে এই পানীয়। হজম ঠিকঠাক হলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
এসএসএইচ