ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দিন দুয়েক আগে চলানো এই হামলাকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে চলমান অস্থিরতায় একটা প্রতিশোধমূলক হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যদিও ইরানে ড্রোন হামলার দায় ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। কিন্তু ইরানের নেতারা এই হামলার ঘটনাকে গুরুত্বহীন, ছোট এবং বাচ্চাদের খেলাধুলার সাথে তুলনা করে রীতিমতো হাস্যরস করেছেন।
এমনকি ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোববার (২১ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলের সন্দেহভাজন সীমিত সামরিক হামলাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, এটি ‘কোনও হামলা ছিল না’ এবং ইসরায়েলের এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছেন, ‘এই হামলা এবং ইসরায়েলের মধ্যে কোনও সংযোগ রয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়নি। এগুলো ড্রোন নয়, এগুলো ছিল খেলনার মতো যা দিয়ে আমাদের বাচ্চারা খেলে।’
এদিকে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের কেবল ইরানকে বোঝানোর উদ্দেশ্য ছিল- ইরানের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে ইসরায়েলের।
মূলত গত শুক্রবার ইরানের অনেক ভেতরে একেবারে মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইসফাহান শহরের কাছে একটি ইরানি বিমান বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলাটি চালাতে দেখা গেছে, কিন্তু ইসরায়েলের সেই ড্রোন কোনো কৌশলগত স্থানে আঘাত করেনি বা বড় ধরনের ক্ষতি কোনো ক্ষতিও করেনি।
আরও পড়ুন
এদিকে ইরাকের ইরানপন্থি নিরাপত্তা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) সামরিক ঘাঁটির একটি কমান্ড পোস্টে বিমান হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের কালসো সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলা হয়।
কালসো সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলায় পিএমএফের এক যোদ্ধা নিহত ও আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পার্শ্ববর্তী হিল্লা শহরের একটি হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, কারা এই বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। এছাড়া একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরাকে সেসময় কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।
টিএম