পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ, স্বামীর গায়ে ফুটন্ত পানি ঢেলে দিলেন স্ত্রী
স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন এক যুবক। অভিযোগ, খাওয়া-দাওয়া করে রাতে ঘুমানোর পরই তার শরীরে ফুটন্ত পানি ঢেলে দিয়েছেন তারই স্ত্রী।
এমনকি শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও মারধর করে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগেই ওই যুবকের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার মধ্যরাতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দেওরিয়া নামক এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই স্বামীর নাম আশীষ কুমার রাই। বালিয়ার বাসিন্দা তিনি।
আর অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম অমৃতা রাই। আশীষের অভিযোগের ভিত্তিতে অমৃতাকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
এনডিটিভি বলছে, নিজের ঘুমন্ত স্বামীর ওপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে তাকে মারধর করা এবং এরপর তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য ধাক্কা দেওয়ার দায়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, শনিবার অমৃতাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন আশীষ। রাতে বাড়ি ফিরতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা বাধা দেন। অভিযোগ, আশীষ যেন কোনও ভাবেই বাড়ি ফিরতে না পারেন, তাই তার মোবাইল ফোন এবং বাইকের চাবি বাজেয়াপ্ত করে নেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
স্বামী আশীষ কুমার রাইয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেছিলেন স্ত্রী অমৃতা রাই।
আশীষ অভিযোগ করেন, ‘আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তারা আমার মোবাইল এবং আমার মোটরসাইকেলের চাবি বাজেয়াপ্ত করে। আমি চাবি চাইলে তারা বলেছিল- তুমি আজ থেকে যাও। আমি বলেছিলাম- ঠিক আছে। তারপর আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়লাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাত ৩টায় আমার স্ত্রী বলল- সে ওয়াশরুমে যাচ্ছে। তার বোন সেসময় ফুটন্ত পানি রেডি করে রেখেছিল। আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন সে আমার গায়ে সেই পানি ঢেলে দেয়। আমি দৌড়ানোর চেষ্টা করলে তারা আমাকে ধরে ফেলে। তারা আমাকে মারধরও করে।’
অভিযুক্ত ওই নারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন
পুলিশ বলছে, আশীষ সেখান থেকে পালাতে গেলে তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাকে মারধর করতে শুরু করেন। এমনকি, ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করেন তারা। এই ঘটনায় মাথায় চোট পেয়েছেন আশীষ।
সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানায় আশীষ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আশীষের অভিযোগের ভিত্তিতে অমৃতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, আশীষ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে সন্দেহের কারণে স্বামীর সঙ্গে এই আচরণ করেছেন অমৃতা। যদিও এই ঘটনার তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
টিএম