রোজা রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
মহান আল্লাহ তার সকল বান্দাকে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি ফরজ বা অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত।
রোজা রাখলে যেমন সওয়াব পাওয়া যায়। তেমনই এটির রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্যগুণ। এটির উপকারিতা এতই বেশি যে অনেক অমুসলিম প্রায় সময়ই আহার গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
মুসলিমদের জন্য রোজা রাখলে একদিকে যেমন আল্লাহর বিধান পালন হয়। অন্যদিকে বিষয়টি তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও সুফল বয়ে আনে।
রোজার যেসব উপকারিতা রয়েছে-
১। রোজা রাখলে শরীরের ওজন কমে। ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে এটি শরীরের প্রদাহও কমিয়ে দেয়। এছাড়া রোজার মাধ্যমে কোমরের আকার কমে এবং চর্বি ঝরে যায়। এতে শরীরের পেশীর কোনো পরিবর্তনই হয় না।
২। রোজা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যখন শক্তি উৎপন্নের জন্য শরীর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাবার পায় না, তখন এটি রোগ প্রতিরোধ কোষগুলো ব্যবহার করে। এতে করে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শরীর আরেকটি শক্তি পেয়ে থাকে।
৩। যে ব্যক্তি রোজা রাখেন তার শরীর বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত হয়। অর্থাৎ রোজা শরীরকে বিষমুক্ত করে। এছাড়া রোজা শরীরে এন্ডোরফিন নামের একটি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই হরমোনটি আমাদের শরীরকে সুস্থ ও হাসিখুশি অনুভব করায়।
৪। কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায় রোজা। যখন আমরা রোজা রাখি তখন এটি আমাদের শরীরের ট্রাইগ্লিসাইরাইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটির কারণে হার্টের রোগ হয়।
৬। রোজা মানুষকে তরুণ করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকলে মানুষ বেশি সময় তরুণ থাকেন।
৭। রোজা রাখলে শরীরের খারাপ কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমে যায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। তবে ডায়বেটিসের রোগী, গর্ভবতী নারী ও অসুস্থদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
৮। রোজা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। রোজা ব্রেইন-ডিরাইভড নিউট্রোফিক ফেক্টর (বিডিএনএফ)-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্ক স্বাভাবিক থাকতে যেসব রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় সেগুলো বিডিএনএফের কারণে বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের মস্তিষ্ককে স্বাভাবিক রাখে এবং স্মৃতিভ্রমসহ বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
সূত্র: ফার্মাইজি
এমটিআই