হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করুন, হ্লাইংকে আসিয়ান নেতারা
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়েই তোপের মুখে পড়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের নেতারা তাকে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নেত্রী সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করার পর শনিবার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পৌঁছান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
হ্লাইং জার্কাতায় পৌঁছে সম্মেলনে যোগ দিলে মিয়ানমারে চলমান হত্যা, নৃশংসতা ও রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন আসিয়ান জোটের নেতারা। উল্লেখ্য, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে শহরে আসিয়ানের এবারের সম্মেলনে মিয়ানমারের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান ও পরবর্তী টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হবে। অভ্যুত্থানের পর এই সম্মেলনকে মিয়ানমারের সংকট নিরসনে প্রথম আন্তর্জাতিক উদ্যোগ অভিহিত করা হচ্ছে।
সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দীন ইয়াসিন মিয়ানমারে সাধারণ মানুষর ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করা ও শর্তহীনভাবে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের শোচনীয় পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকা উইদোদো মিয়ানমারের বর্তমান এই পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ বলে মন্তব্য করে মিয়ানমারে সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য জেনারেলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকের শেষে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে জোটভূক্ত দেশগুলোর আহ্বান ও উদ্যোগ ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনী মেনে চলবে বলে আশা করেন। হ্লাইংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি তো আমাদের এসব কথা শুনেছেন।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এই জোটের অন্যতম দুই সদস্য থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে এবার সম্মেলনে অংশ নেননি। রাষ্ট্রনেতাদের পরিবর্তে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবারের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
জার্কার্তায় যেখানে সম্মেলন হচ্ছে তার পাশে বিক্ষোভকারীরা বাসন, কড়াই নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও’, ‘আমরা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে’। মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরেও এদিন বিক্ষোভ হয়েছে।
এএস