৪০ হাজার ফুট উঁচুতে বিমানের টয়লেট কাজ করে কীভাবে?
৫০০ মাইল গতিতে ছুটে চলা বিমানে কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন? এত উঁচুতে কীভাবে আপনি গরম খাবার এবং পানীয় পান করেন? তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে একটি বিমানের টয়লেট কীভাবে কাজ করে?
আমরা প্রায়ই ভাবি কীভাবে বিমান কাজ করে, কীভাবে এটি আকাশে উড়ে এবং নিরাপদে সেখানে অবস্থান করে। কিন্তু আমরা যে বিষয়টি ভাবি না সেটি হলো বিমানের ভেতর থাকা সবকিছু কাজ করে কীভাবে। বাতাস চলাচল, খাবার ও পানীয় গরম করা, এমনকি টয়লেট ফ্লাশ করা এগুলো নিয়ে মানুষ খুব কম ভাবেন। আর আকাশে এই বিষয়গুলোই সবচেয়ে জটিল।
বিমান খাতের উপদেষ্টা সেন্ট জার্মেইর সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, আপনি যখন এগুলো নিয়ে ভাববেন বিষয়টি অসাধারণ হবে। স্থলে যা করা হয় আকাশে সেই একই কাজ করাটা দ্বিগুণ কঠিন।
যেভাবে উড়ন্ত অবস্থায় কাজ করে বিমানের টয়লেট
বিমানের ওজন বা ভরের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ আছে। ফলে বিমানের টয়লেটে কোনো পানি থাকে না। এরবদলে উড়োজাহাজের টয়লেটে ব্যবহার করা হয় বাতাস।
টয়লেট ব্যবহারের পর মানব মলমূত্র ফ্লাশ করতে স্ট্যান্ডার্ড অপসারণ ব্যবস্থার ভিন্ন বায়ুচাপ ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিটি ১৯৭৫ সালে জেমস ক্যাম্পার নামের এক ব্যক্তি তৈরি করেন।
আরও পড়ুন
যেখানে মলমূত্র যায় সেটিকে বলা হয় ‘ওয়েস্ট ট্যাংক’। যা বিমানের পেছনে থাকে। আবার এটি সামনেও থাকতে পারে।
যখন কোনো যাত্রী টয়লেটের ফ্লাশ বাটনে চাপ দেন তখন টয়লেটের নিচের অংশের একটি ভালভ খুলে যায়। যেটির সঙ্গে নিচের পাইপের সংযোগ থাকে। ওই পাইপ আর ওয়েস্ট ট্যাংকে চাপ সৃষ্টি হয়। যখন ভালভটি খোলে তখন সেখানে একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়। ওই শূন্যস্থান তখন মানব ময়লা টেনে নিয়ে যায়।
কিংসটোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিমান প্রকৌশলী নাইজেল জোনস বলেছেন, “বিষয়টি আপনার বাড়ির ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো। এটি শুষে নেয়। যখন আপনি ফ্লাশ বাটনে চাপ দেন তখন ভালভটি খুলে যায়, এটি খোলার পরই শোষণ ব্যবস্থা পুরোটি শুষে নেয়।”
বলা হয়ে থাকে, বিমানের বর্জ্য মাঝ আকাশে সামুদ্রিক অঞ্চল, বিশেষ করে অ্যান্টার্টিকায় ফেলে দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়টি সঠিক নয়। এখন যেভাবে বিমানের টয়লেট কাজ করে আগেও একইভাবে কাজ করত। তবে অনেকে বলেন, হয়ত লিক হয়ে কখনো কখনো মানববর্জ্য নিচে পড়ে থাকতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই