যে কারণে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে না হামাস
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের সঙ্গে অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর আলোচনা চলছে। রোববার (৩ মার্চ) মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা শুরু হয়।
হামাসের এক প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না।
কেন হামাস অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে না, সে বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন দোহা ইনস্টিটিউট অব গ্যাজুয়েট স্টাডিসের বিশ্লেষক মোহাম্মদ এলমাসরি।
তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়া ইসরায়েলের জন্য খুবই সহজ। কিন্তু হামাসের জন্য বিষয়টি ‘খুবই কঠিন’। কারণ এটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িত রয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘হামাসকে একাধিক বিষয় হিসাব করতে হচ্ছে। একদিকে, গাজার ফিলিস্তিনিরা বিরতির জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। তাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। তারা মারা যাচ্ছেন, বোমায় অথবা প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবের কারণে।”
“অপরদিকে ইসরায়েলের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া হামাসের জন্য খুবই কঠিন হবে।”
“কার্যত ইসরায়েলের শর্ত হলো গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। তারা এটি স্পষ্ট করেছে, কথায় এবং কাজে। তারা যতটা সম্ভব গাজাকে ঠিক ততটা ধ্বংস করে দিতে চায়। গাজাকে বসবাসের অনুপযোগী করে দিতে চায় এবং সবশেষে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।
এখন হামাসের লক্ষ্য হলো যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা। কারণ তারা চায় গাজাবাসীর ওপর সবধরনের হামলা বন্ধ হোক এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার দেওয়া হোক।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই