ত্রাণ নিতে আসা শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার একটি ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি।
এই হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছে দেশটি। শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় খাদ্য সহায়তা নিতে মরিয়া শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বৃহস্পতিবার এটিকে ইসরায়েলের ‘মানবতার বিরুদ্ধে আরেকটি অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইসরায়েল তার মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সাথে আরেকটি অপরাধ যোগ করেছে।’
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘ইসরায়েল গাজাবাসীকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং এবার তারা মানবিক সহায়তা নিতে লাইনে দাঁড়ানো নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড এটিই প্রমাণ করে, (ইসরায়েল) সচেতনভাবে এবং সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনি জনগণকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে।’
এদিকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলার ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে কমপক্ষে ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৬০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেছেন, গাজা শহরের পশ্চিম নাবুলসি গোলচত্বরে ত্রাণের ট্রাকের দিকে খাবারের জন্য মরিয়া হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন। সেই সময় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ত্রাণ-বোঝাই ট্রাকগুলো কিছু সেনা ট্যাংকের খুব কাছাকাছি চলে আসে। ওই সময় হাজার হাজার মানুষ ট্রাকের দিকে ছুটে আসেন। তারা ট্রাকগুলোতে হামলে পড়েন। লোকজন ট্যাংকের খুব কাছে চলে আসায় ইসরায়েলি সৈন্যরা ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’
টিএম