ইসলামিক বিশ্বে রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি ১০ মার্চ
গত ১১ ফেব্রুয়ারি শাবান মাস শুরু হয়েছিল এমন বেশিরভাগ ইসলামি দেশে আগামী ১০ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
ইসলামি ক্যালেন্ডারের নবম মাস রমজান। হিজরি ক্যালেন্ডারের অন্যান্য সব মাসের মতো রমজান মাস শুরু হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেক মাসের শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টারের (আইএসি) তথ্য অনুযায়ী, ইসলামি বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলজুড়ে আগামী ১০ মার্চ শাবান মাসের চাঁদ সূর্যাস্তের পর অস্ত যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এর ফলে অনেক দেশে ১১ মার্চ (সোমবার) থেকে রমজান মাস শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বর্ণিত নতুন চাঁদের দৃশ্যমানতার বিভিন্ন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ১০ মার্চ (রোববার) রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখা অসম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনেক গবেষক ওই দিন আরব ও ইসলামি বিশ্বের কোথাও খালি চোখে কিংবা টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন। তবে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ থেকে বিশেষ করে— পশ্চিমাঞ্চলে নতুন চাঁদ দেখা যেতে পারে।
ইসলামি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগামী ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) রমজান মাস শুরু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
যদিও পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু হবে, গত ডিসেম্বরেই সম্ভাব্য সেই তারিখ ঘোষণা করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্টের (আইএসিএডি) ওয়েবসাইটে ১২ ডিসেম্বর বলা হয়, আগামী ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রমজান মাস শুরু হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ রমজান মাস শুরুর বিষয়ে প্রত্যেক বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনায় কেবল ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেক মাসের শুরুর সম্ভাব্য তারিখের পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
আইএসিএডির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রমজান মাস ২৯ দিন হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, আমিরাতে রমজানের শেষ দিন হবে ৯ এপ্রিল।
সূত্র: খালিজ টাইমস।
এসএস