হার্টে ঘুষি মেরে নাভালনিকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি মানবাধিকারকর্মীর
রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে হার্টে মাত্র একটি ঘুষি মেরে হত্যা করা হয়ে থাকতে বলে দাবি করেছেন এক মানবাধিকারকর্মী। যেটি সাবেক সোভিয়ত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়ার) গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি করত।
এক সপ্তাহ আগে দুর্গম আর্কটিক কারাগারে হঠাৎ করে নাভালনির মৃত্যু হয়। যদিও এখন পর্যন্ত তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তবে এরমধ্যেই নাভালনিকে ঘুষি মেরে হত্যা করার অভিযোগটি সামনে আসল।
ভ্লাদিমির ওশেচকিন নামের এই মানবাধিকারকর্মী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব লন্ডনকে আর্কটিক কারাগারের একটি সূত্রের বরাতে বলেছেন, “এটি কেজিবির স্পেশাল ফোর্সের একটি পুরোনো পদ্ধতি। শরীরের মাঝখানে, হার্টে এক ঘুষির মাধ্যমে হত্যা করার জন্য তাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটি তাদের হলমার্ক।”
সোভিয়েত আমলে কেজিবিকে সাধারণ মানুষ ভয় পেতেন। ১৯৯১ সালের ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্থাটির সকল কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে এসভিআর নামে নতুন করে আবার আত্মপ্রকাশ করে সংস্থাটি। এরপর ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) নামে পরিচিতি লাভ করে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।
এই মানবাধিকারকর্মী আরও দাবি করেছেন, হত্যার আগে নাভালনিকে কঠিন ও হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় রাখা হয়েছিল। যেন তিনি দুর্বল হয়ে যান।
তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে রেখে তার শরীরকে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া তার শরীরের রক্ত সরবরাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরমাধ্যমে যে কাউকে হত্যা করা খুবই সহজ। বিশেষ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হত্যা করা যাবে, যদি হত্যাকারী অভিজ্ঞ হয়।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্যারামেডিক জানিয়েছেন, নাভালনির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, সাধারণত কারাগারে কেউ মারা গেলে তার মরদেহ সরাসরি ফরেন মেডিসিন ব্যুরোতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নাভালনির মরদেহ কিছু কারণে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তার শরীরে যেসব আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে কাউকে জোরপূর্বক পাকড়াও করলে যে ধরনের চিহ্ন তৈরি হয়— সেগুলোর সঙ্গে মিল রয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব লন্ডন
এমটিআই