লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না, ঘোষণা সোনিয়া গান্ধীর
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থিতা করবেন না কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী। বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন ভারতের গান্ধী পরিবারের বর্তমান এই সর্বজ্যেষ্ঠ সদস্য।
হিন্দি ভাষায় লেখা সেই খোলা চিঠিতে নিজের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আজ আমি যেখানে রয়েছি, তার সবই আপনাদের কল্যাণে এবং আমার বর্তমান অবস্থান নিয়ে আমি গর্বিত। আমার ওপরে সবসময়েই আপনারা আস্থা রেখেছেন এবং আমিও সব সময় সেই আস্থাকে সম্মান জানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’
‘কিন্তু এখন আমার বয়স হয়েছে, শরীরও ভালো যাচ্ছে না। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে আমি প্রার্থিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জানি যে এই সিদ্ধান্তের কারণে এখন থেকে সরাসরি আমি আপনাদের পাশে থাকতে পারব না, কিন্তু আমার হৃদয় ও অন্তর থেকে সবসময় আপনাদের পাশেই আমি থাকব।’
সোনিয়া গান্ধী ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বড় ছেলে এবং ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। ১৯৪৪ সালে ইতালির লুসিয়ানা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। ১৯৯১ সালে চেন্নাইয়ে এক আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হয়ে নিহত হন রাজীব।
রাজীব গান্ধী নিহত হওয়ার পর দলের হাল ধরেন সোনিয়া গান্ধী। তবে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও কখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সব সময়ই নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন তিনি।
৭৭ বছর বয়সী সোনিয়া গান্ধী বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের রায় বেরিলির এমপি। এই আসনটি কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের অন্যতম ঘাঁটি বলে পরিচিত। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজীব গান্ধীর মা ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীও এই আসনের এমপি ছিলেন।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্যপদের জন্য ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এ কারণেই নিয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে রায় বেরিলিতে তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
এসএমডব্লিউ