পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্রদের সরকার গঠন নিয়ে যা বললেন শেহবাজ শরিফ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জাতীয় পরিষদে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন পায়, তাহলে তারা কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘‘যদি পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারে, তাহলে তাদের সরকার গঠনে স্বাগত জানাই।’’ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা সংসদের নিম্নকক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে পারলে তার দল পিএমএল-এন বিরোধী দলের আসনে বসতে প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের (পিটিআই সরকারকে) আনন্দের সাথে গ্রহণ করব। যদি তারা (সরকার গঠনে) ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা সাংবিধানিক ও আইনি অধিকারের ব্যবহার করব।’’
শেহবাজ শরিফ বলেন, পাঞ্জাবে পিএমএল-এনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং দল বিবেচনায় কেন্দ্রে তার দলই বৃহত্তম। স্বতন্ত্ররা আমাদের দলে যোগদানের পর আমাদের এখন ৮০ জন সদস্য রয়েছে। আগামী দিনে আরও স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতারা পিএমএল-এনে যোগ দেবেন।
নির্বাচনে পিএমএল-এন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও শেহবাজ বলেছেন, তাদের দলের প্রধান নওয়াজ শরিফ এখনও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দলীয় প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনও আমার কথায় অটল আছি যে, নওয়াজ শরিফ চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।’’
পিএমএল-এনের এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দল কেন্দ্রে জোট সরকার গঠনের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়ম, ফল প্রকাশে বিলম্ব এবং ভোটের দিন মোবাইল পরিষেবা স্থগিত রাখায় ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে দেশে ও বিদেশে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রধান নির্বাচনে কারচুপি অভিযোগ এনে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক ডজনেরও বেশি প্রার্থীকে কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
দেশটির এবারের নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া পিএমএল-এন ৭৯ ও পিপিপি ৫৩ আসনে জয় পেয়েছে।
সূত্র: জিও টিভি।
এসএস