গাজা থেকে দুই জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের দাবি ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ থেকে দুই জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানায়।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গত ৭ অক্টোবর এই দুইজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর সোমবার রাতে রাফাহতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
আর এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল প্রতিরক্ষা বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা সিন বেত এবং ইসরায়েলি পুলিশ।
যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের নামও উল্লেখ করেছে দখলদার ইসরায়েল। উদ্ধারকৃতরা হলেন, ৬০ বছর বয়সী ফার্নান্দো সিমন মারম্যান ও ৭০ বছর বয়সী লুইস হার। তারা দুজনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এই দুই ইসরায়েলিকে তেল হাসমোরের সেবা মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময় তারা প্রায় ২৫০ জনকে ধরে নিয়ে যায়। যার মধ্যে অনেক অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলি ছিলেন।
আরও পড়ুন
গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হয়। ওই সময় ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেলে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও থমকে যায়। এরপর জিম্মিদের উদ্ধারে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি সেনারা। কিন্তু তারা কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। দীর্ঘ ১২৮ দিন পর অবশেষে দুই জিম্মিকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছে তারা।
অপরদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সোমবার রাতে রাফাহতে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও বোমা ফেলেছে বলে জানিয়েছেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা।
বোমা হামলার সঙ্গে জিম্মিদের উদ্ধারের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। এছাড়া জিম্মিদের জীবিত উদ্ধারের ব্যাপারে হামাস এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেয়নি।
রাফাহতে বর্তমানে ১৩ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন। সেখানে বর্বরতা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো। কিন্তু এসব আহ্বান তোয়াক্কা না করে জনবহুল এ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে তারা।
সূত্র: এএফপি, আলজাজিরা
এমটিআই