মার্কিন সেনাদের ওপর ড্রোন হামলা নিয়ে মিলল চমকপ্রদ তথ্য
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হন। আহত কয়েকজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
টাওয়ার-২২ নামের ওই ঘাঁটি জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক রেসিসটেন্স নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ড্রোন ঘাঁটিতে আঘাত হানল এ নিয়ে তদন্ত চলছে। আর এই তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে, নিজেদের ভুল ও বিভ্রান্তির কারণে ভয়াবহ হামলার স্বীকার হয়েছেন মার্কিন সেনারা।
দুজন সামরিক কর্মকর্তা প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, যখন ইসলামিক রেসিসটেন্সের ড্রোনটি তাদের ঘাঁটির দিকে এগিয়ে আসছিল— তখন তাদের নিজস্ব একটি ড্রোন ঘাঁটিতে ফিরছিল। ফলে যারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন— তারা বুঝতে পারেননি অগ্রসরমান ড্রোনটি তাদের না কি অন্য কোনো জায়গা থেকে আসছিল। আর এ নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে ওই সময় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়নি। ফলে তাদের লক্ষ্য করে আসা ড্রোনটি সরাসরি ঘাঁটিতে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন
তবে হামলার জন্য ড্রোনটি কি পরিকল্পনা করেই তাদের ড্রোনের সাথে সাথে পাঠানো হয়েছিল; নাকি এটি নিছকই একটি কাকতালীয় ব্যাপার ছিল সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
এছাড়া ড্রোনটি কোথা থেকে এসেছিল সে বিষয়টিও এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তারা।
ড্রোনটি আঘাত হানে সেনাদের থাকার কোয়ার্টারে। ওই সময় তারা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। আহত সেনাদের মধ্যে আটজনকে জার্মানির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এই ড্রোন হামলার কড়া জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দেশটি জানিয়েছে, সময় ও সুযোগ বুঝে তারা হামলার জবাব দেবে।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই