হুথিদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে আছেন বাংলাদেশি ক্রু
ইয়েমেনের এডেন উপসাগরে ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজে হামলা চালিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। শুক্রবারের এই হামলার পর মার্লিন লুয়ান্ডা নামের জাহাজটির ডানপাশে আগুন লেগে যায়। জাহাজে লাগা এই আগুন শনিবারও (২৭ জানুয়ারি) জ্বলছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, হুথিদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটিতে ২২ জন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশি ক্রু রয়েছেন। জাহাজটির কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন পাওয়ার পর দ্রুত সাড়া দিয়েছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিশাখাপত্তম। এখন এই যুদ্ধজাহাজটি তেলবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন
বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, সমুদ্রে জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের সেনারা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
জাহাজাটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রাফিগুরা বলেছে, হুথিদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া জাহাজটির কোনও ক্রু হতাহত হননি। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘‘সামরিক জাহাজের সহায়তায় জাহাজের ক্রুরা এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্রুদের নিরাপত্তাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জাহাজটিতে থাকা কোনও ক্রু হতাহত হননি।’’
মার্লিন লুয়ান্ডা নামের বিশালাকৃতির জাহাজটি এডেন উপসাগরে পৌঁছানোর পরপরই আক্রান্ত হয়। জাহাজটি লক্ষ্য করে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বর্বরতা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এ হামলার প্রতিবাদে প্রথমে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে হুথিরা। তাদের থামাতে দুই সপ্তাহ আগে ইয়েমেনে ব্যাপক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। ওই হামলার পর এই দুই দেশের জাহাজকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে হুথিরা।
তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালানোর পর এর প্রতিশোধ নিতে শনিবার ইয়েমেনের রাস ইসা বন্দরে যৌথ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এই বন্দরে ইয়েমেন তেল রপ্তানির সবচেয়ে বড় টার্মিনালটি রয়েছে।
রাস ইসা বন্দরে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীর হামলার তথ্য জানিয়েছে হুথি সংবাদমাধ্যম আল-মাসিরা টেলিভিশন। তবে হামলায় বন্দরটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানায়নি টিভি চ্যানেলটি। এছাড়া হুথিদের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্র: এনডিটিভি।
এমটিআই