চীনের সিনোফার্মের টিকা ৭৯ শতাংশ কার্যকর
চীনা ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট সিনোফার্ম জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৭৯ শতাংশ কার্যকর। টিকাটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষে বুধবার এ কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর সংবাদ সংস্থা এএফপির।
ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকার চেয়ে সিনোফার্মের টিকার কার্যকারিতা কম হলেও এশিয়া অঞ্চলে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিনোফার্মের এই টিকাকে সম্ভাব্য অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভিড-১৯ টিকা তৈরির প্রতিযোগিতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে রয়েছে চীনও।
মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করোনা টিকার কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বলে এর আগে কোম্পানি দুটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। আরেক মার্কিন কোম্পানি মডার্নার টিকাও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভিড-১৯ টিকা তৈরির প্রতিযোগিতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে রয়েছে চীনও। দেশটিতে ইতোমধ্যে পাঁচটি করোনার টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। তবে বুধবার প্রথম কোনো টিকার কার্যকারিতার বিষয়ে ঘোষণা দিল চীনা কোনো প্রতিষ্ঠান।
সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস জানিয়েছে, তাদের টিকাটি কোভিড-১৯ থেকে ৭৯.৩৪ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। টিকার অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যেই দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে তারা।
এর আগে সিনোফার্ম জানিয়েছিল, দশটি দেশে তাদের টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরীক্ষা ও আক্রান্ত শনাক্তের তথ্য প্রকাশ নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। যদিও দেশটি তা বারবারই অস্বীকার করে আসছে। তাই করোনার টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
এর আগে সিনোফার্ম জানিয়েছিল, দশটি দেশে তাদের টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এ কারণেই তাদের কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি ছিল বলে বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জরুরিভিত্তিতে অনুমোদনের আগেই চীনে ১০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে নভেম্বরেই জানিয়েছিল সিনোফার্ম।
চীনের কর্মকর্তারা টিকার বিষয়ে জনসাধারণকে বারবার আশ্বস্ত করে দাবি করেছেন, তাদের তৈরি টিকার ক্ষতিকর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
জরুরিভিত্তিতে অনুমোদনের আগেই চীনে ১০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে নভেম্বরেই জানিয়েছিল সিনোফার্ম।
স্বাস্থ্যকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হয়। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, ডিসেম্বরের শুরুতেই সিনোফার্মের তৈরি একটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আমিরাত চীনের উৎপাদিত কোনো টিকার অনুমোদন দিয়েছে। তখন বলা হয়েছিল তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে দেখা গেছে, টিকাটি ৮৬ শতাংশ কার্যকর।
এএস