গাজার জনগণকে উচ্ছেদের কোনো পরিকল্পনা নেই : নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অভিযান শেষে সেই ভূখণ্ডটি দখল করবে ইসরায়েল— এমন একটি গুঞ্জন শুরু হয়েছিল তিন মাস আগে, অর্থাৎ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই। সেই গুঞ্জন পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বিষয় আমি স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, গাজা উপত্যকা দখল করা বা সেখানে বসবাসরত বেসামরিক লোকজনকে উচ্ছেদ করার কোনো ইচ্ছে বা আকাঙ্ক্ষা ইসরায়েলের নেই। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে হামাসের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে নয়।‘
‘দ্বিতীয়ত, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে অভিযান চলছে, তা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই পরিচালনা করা হচ্ছে।’
— Prime Minister of Israel (@IsraeliPM) January 10, 2024
‘আমাদের লক্ষ্য হলো গাজাকে হামাসের কবলমুক্ত করা এবং সেখান থেকে আমাদের জিম্মিদের উদ্ধার করা। যদি এই লক্ষ্য পূরণ হয়, তাহলে গাজাকে নিরস্ত্রকরণ এবং সেখানকার চরমপন্থার অবসান ঘটানো সম্ভব হবে, যা ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের জনগণকে জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।’
একই দিন বুধবার নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির জেষ্ঠ্য সদস্য এমকে ড্যানি ড্যানন ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় অভিযান শেষে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তর এবং উপত্যকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের একটি পরিকল্পনা ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার ছিল; কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ইসরায়েল।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আবেদন জমা দেওয়ার পর আইসিজে সেটি গ্রহণ করেন এবং সেটির শুনানি শুরুর দিন হিসেবে ১১ জানুয়ারিকে ধার্য করেন।
আজ বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আইসিজে কার্যালয় ভবনে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। তার আগের দিন এই ভাষণ দিলেন নেতানিয়াহু।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
এসএমডব্লিউ