ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, নিহত অন্তত ২১
ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতালির ল্যামপেদুসা দ্বীপে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় যাত্রীবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়। তিউনিশিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
তিউনিশিয়ার সিভিল প্রোটেকশন সার্ভিসের পরিচালক মোউয়ার্দ মেছরি শুক্রবার রয়টার্সকে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার শেষরাতে উপকূলীয় শহর সেফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল নৌকাটি। কোস্টগার্ড ২১টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
আফ্রিকা এবং মধপ্রাচ্যের সংঘাতকবলিত ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশের মানুষ কিছুটা উন্নত জীবনের আশায় ঝূঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যেতে তাদের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়ার বন্দরনগরী সেফ্যাক্স।
গত মাসে সেফ্যাক্স উপকূলে অভিবাসীবোঝাই একটি নৌকাডুবে ৩৯ জন প্রাণ হারান। গত বছরের জুনে এমন আরেকটি দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। মহামারির প্রকোপ সত্ত্বেও গত বছর ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এসব নৌযান পরিচালনা করে মানবপাচারকারীরা। বেশিরভাগ রাবারের তৈরি ডিঙ্গি কিংবা মাছ ধরার নৌকা। ইউরোপে আশ্রয় নেওয়ার আশায় আফ্রিকার উপকূলগুলোতে ভিড় জমানো এসব অভিবাসনপ্রার্থী মানুষ নিয়ে নৌকাগুলো ভূমধ্যসাগরের ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দেয়।
চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৪০৬ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী এবং শরণার্থী সমুদ্রেই তাদের প্রাণ হারিয়েছেন।
এএস/জেএস