লেবাননের হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি বেসামরিক নিহত
হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় মাত্তাত শহরে হিজবুল্লাহর এই হামলায় অন্তত এক ইসরায়েলি বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর সীমান্তের মাত্তাত শহরে আঘাত করেছে। এতে এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগ্যান ডেভিড অ্যাডম বলছে, হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন তিনি। মেগ্যান ডেভিড অ্যাডম ইসরায়েলি ওই নাগরিকের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবানন সীমান্ত লাগোয়া মাত্তাত শহরে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান, ট্যাংক এবং কামান থেকে গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
এছাড়া লেবাননের দক্ষিণের আরও কয়েকটি এলাকায় যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের এই হামলায় লেবাননের কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজায় হামাসের সাথে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। এই হামলার জবাবে লেবাননে ড্রোন ও বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রায় দুই মাস আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল-লেবাননের সীমান্তে সংঘর্ষে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৮৫ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। আর ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত সংঘাতে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে নিহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ।
এসএস