অনলাইনে মুদিপণ্যের অর্ডার করে পেলেন মানব মল
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মুদি পণ্যের অর্ডার করেছিলেন যুক্তরাজ্যের এক নাগরিক। কিন্তু বাসায় ডেলিভারি পাওয়া পণ্যের বক্স খোলার পর তিনি একেবারে হতভম্ব হয়ে যান, এমনকি কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়েন। বক্সে যা দেখেছেন, তা বিশ্বাসও করতে পারছিলেন তিনি। এই ঘটনাকে অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাশায়ারে বসবাস করেন ৫৯ বছর বয়সী ফিল স্মিথ। এক মাসের বেশি সময় ধরে তিনি শহরের বাইরে রয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের বাইরে থাকায় বাসায় পণ্যসামগ্রীর মজুত রাখার জন্য ব্রিটিশ সুপারমার্কেট চেইন আইসল্যান্ডে মুদিপণ্যের অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি।
ডেলিভারি পাওয়ার পর পণ্যগুলো বক্স থেকে বের করার জন্য রান্নাঘরে নেন তিনি। তিনি রান্নাঘরের মেঝেতে খাবারের ব্যাগগুলো রাখেন। আর এই সময় তিনি ব্যাগে প্যাকেটের ভেতর মানব মল দেখতে পান। তিনি বলেন, ব্যাগগুলো রাখার সঙ্গে সঙ্গে মানব মল ছড়িয়ে পড়ল। এতে তিনি পুরোপুরি হতবাক হয়ে যান। ফিল স্মিথ বলেন, এটা একেবারে বিরক্তিকর। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
‘‘ব্যাগ থেকে মানব মল পড়ে গেল এবং আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে গেলাম। আমি ভেবেছিলাম এটা কী? আমি অন্য একটি ব্যাগ পরীক্ষা করে সেখানেও মল দেখতে পেলাম। আমি বেশ অসুস্থ বোধ করলাম।’’
পরে সুপারমার্কেট চেইন আইসল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাগগুলো অবিলম্বে তার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান স্মিথ। ল্যাঙ্কাশায়ারের এই বাসিন্দা বলেন, তিনি কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণের আশা করেন না। কেবল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা যে ঘটেছে সেটা আইসল্যান্ড স্বীকার করুক, সেটাই চেয়েছিলেন তিনি। ৫৯ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক স্মিথ বলেন, পরে তাকে নতুন করে মুদিপণ্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আইসল্যান্ড।
‘‘ওই সময় আমি তাদের বলেছিলাম, আমি পণ্যের রিপ্লেসমেন্ট চাই না। আমি কেবল ব্যাগগুলো আমার বাসা থেকে তাদের সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। এরপর এই বিষয়টা নিয়ে তারা আমার সাথে কয়েকদিন কথা বলেছে। আমি শুধু অর্থ ফেরত চেয়েছি এবং তাদের জানিয়ে দিয়েছি, আমার ক্ষতিপূরণ লাগবে না। এতে আমার কোনো আগ্রহ নেই। যদি আমাকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, তাহলে তা প্রাণী দাতব্য সংস্থাগুলোতে যাবে,’’ বলেন তিনি।
স্মিথ বলেন, তিনি স্থানীয় কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন; যাতে আইসল্যান্ডের শপে একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন। এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এই সুপারমার্কেট চেইন। তবে তারা বলেছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
সূত্র: মেট্রো।
এসএস