পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ১ শিশুসহ ৪ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এক জন ৮ বছর বয়সী শিশু এবং ১৫ বছর বয়সী কিশোরসহ মোট চার জন নিহত হয়েছে। বাকি দু’জন ইরানের সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠী ইসরামিক জিহাদের কমান্ডার।
বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম ওয়াফা নিউজ।
আজ বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে একই তথ্য।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জেনিন শহরে দখলদার বাহিনীর অভিযানে আদম সামের আল ঘৌল (৮), আবুল আল ওয়াফা (১৫) এবং মুহম্মদ জামাল জুবাইদি ও ওয়াসিম জিয়াদ হানোন নামের দু’জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আইডিএফর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে রয়টার্সকে বলেন, ‘বুধবার সকালে জেনিনের একটি শরণার্থী শিবিরে নিয়মিত টহলের জন্য গিয়েছিল একটি আইডিএফের একটি সৈন্যদল। টহলের সময় তাদের লক্ষ্য করে শিবিরের ভেতর থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়।’
‘এই হামলার জবাবে ইসরায়েলি সেনারাও গুলি ছোড়ে এবং সে সময় মৃত্যু হয় এই চারজনের।
ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, আট বছরের মিশু আদম সামের ঘৌল এবং ১৫ বছরের কিশোর আবু আল ওয়াফার মরদেহ পাওয়া গেলেও জুবাইদি এবং হানোনের মরদেহ ফেরত দেয়নি ইসরায়েলি সেনারা।
আইডিএফের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জুবাইদি ও হানোন উভয়ই ইসলামিক জিহাদের কমান্ডার এবং জেনিনের যে শরণার্থী শিবিরে এ ঘটনা ঘটেছে, সেই শিবিরের একজন নেতা জুবাইদি।
ফিলিস্তিনের অপর অংশ গাজা উপত্যকায় বর্তমানে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলছে। উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর এই বিরতি দিয়েছে হামাস এবং আইডিএফ।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবে শুক্রবার মধ্যরাতে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
গত দেড় মাস গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরেও অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনা বাহিনী। সেসব অভিযানে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।
রয়টার্স
এসএমডব্লিউ