জাপানে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মার্কিন সৈন্য নিহত
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইয়াকুশিমা দ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে অন্তত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের কোস্টগার্ড।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) মার্কিন সিভি-২২ ওসপ্রে হাইব্রিড মডেলের যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় বিমানটির ভেতর ছয় (সেনা) ছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
জাপানি কোস্টগার্ড দুর্ঘটনাস্থলের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে। ছবিতে বিমানের একটি ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে।
জাপানি টিভি চ্যানেল এনএইচকে জানিয়েছে, মাঝআকাশে বিমানটির বাম পাশের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। এটি ইয়াকুশিমা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী এনএইচকে’ জানিয়েছেন, বিমানটি আকাশে চক্কর খাচ্ছিল। এরপর এটিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর বিমানটি সাগরে আছড়ে পড়ে।
বিধ্বস্ত বিমানটির পাশ ঘেষে আরেকটি ওসপ্রে যুদ্ধবিমান উড়ছিল। সেটি অক্ষত অবস্থায় বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
বিমান বিধ্বস্তের বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী।
যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের ইয়ামগুচির ইয়াকুনি ঘাঁটি থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কাদেনা ঘাঁটিতে যাচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বিমানটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পাঁচমিনিট পর কোস্টগার্ড বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য পায়।
কোস্টগার্ড তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ছয়টি নৌকা ও দুটি হেলিকপ্টার পাঠায়। ওই হেলিকপ্টার থেকেই বিমানের একটি ধ্বংসাবশেষের ছবি তোলা হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় বলা হয়েছিল, বিমানটির ভেতর আটজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি ছয়জনে নামিয়ে আনা হয়।
ওসপ্রে বিমানের একটি হেলিকপ্টারের কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে।
গত কয়েক বছরে এ মডেলের যুদ্ধবিমান একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই