মালয়েশিয়ায় ভবন ধস: যেভাবে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন দুই বাংলাদেশি
মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে গতকাল রাতে তিন বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ধসে পড়া ওই ভবনের নিচে আরও অন্তত চারজন আটকা পড়ে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারাও বাংলাদেশি প্রবাসী।
ভয়াবহ এ ভবন ধস থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন মহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইফতিখার নামের দুই বাংলাদেশি শ্রমিক।
মহিদুল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয়মালিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অন্যদিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কাজ রেখে একটু আগে বের হয়ে যান। তিনি বের হওয়ার পরপরই ভবনটি ধসে পড়ে।
তিনি বলেছেন, ‘শুকরিয়া যে আমি আগে বের হয়ে গিয়েছিলাম, নয়ত আমি তাদের মতো (আহত বা নিহত) একজন হতে পারতাম।’
‘হঠাৎ করে আমি প্রচণ্ড জোরে একটি শব্দ শুনতে পাই। যখন বুঝতে পারি নির্মাণাধীন ভবনটি ধসে পড়েছে তখন সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ।’ যোগ করেন মহিদুল।
৪৩ বছর বয়সী মহিদুল ধসে পড়া ভবনটির ছাদে কাঠের কাজ করছিলেন।
তবে নিজে বেঁচে গেলেও এ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তার বন্ধুর। এ বিষয়টি ভীষণ পীড়া দিচ্ছে তাকে। মহিদুল বলেছেন, ‘আমরা বেশিরভাগ শ্রমিক এখানে মাত্র তিন মাস ধরে কাজ করছিলাম। আমি দুঃখিত কারণ আমার বন্ধু আছে যে এই ঘটনায় মারা গেছে।’
মোহাম্মদ ইফতিখার নামের অপর এক শ্রমিক সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি ভবনটির নিচ তলায় কাজ করছিলেন। রাত ৯টা ৪০ মিনিটের হঠাৎ করে ভবনটি দোলা শুরু করে। এরপর দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যান।
তিনি বলেছেন, ‘অন্যান্য শ্রমিকদের চিৎকার শুনতে পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে বের হয়ে যাই। এরপর দেখতে পাই ভবনটি ধসে পড়েছে। একজন ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে যায়। তাকে যদিও বের করে আনা হয়। কিন্তু মারাত্মক জখম হওয়ায় কিছুক্ষণ পরেই সে মারা যায়।’
এরআগে পেনাংয়ের উপপুলিশ প্রধান দাতুক মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মদ জানান, ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দুজন গুরতর আহত হয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চারজন আটকে আছেন।
আজ বুধবার পর্যন্ত ওই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: মালয়মালি
এমটিআই