যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় ঢুকবে ত্রাণবাহী ৮০০ ট্রাক
কাতারের মধ্যস্থতায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের সদস্যরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বাধে।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর অবশেষে কাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে উভয় পক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামাসের সেনা শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ৪দিন তারা কোনো ধরনের যুদ্ধ করবে না।
আরও পড়ুন
কাসেম ব্রিগেডস আরও জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির এই চারদিনে গাজায় ৮০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে। তবে সেগুলো একসঙ্গে আসবে না। প্রতিদিন ২০০টি ট্রাক ত্রাণ নিয়ে আসবে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির সময় প্রতিদিন ৪ ট্রাক জ্বালানিও গাজায় আসবে।
যুদ্ধের শুরুর দিন (৭ অক্টোবর) থেকেই গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ২৮ অক্টোবর স্থল হামলা শুরু করে তারা। ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলিদের অব্যাহত বিমান হামলায় গাজার সাধারণ মানুষের জীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে এ যুদ্ধবিরতিটি তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসবে।
চারদিনের এ যুদ্ধবিরতি চলার সময় হামাস গাজা থেকে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ফলে এটি ইসরায়েলের জন্যও স্বস্তির। হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বদলে ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই