ফিলিস্তিনিদের এবার খান ইউনিস শহর ছাড়তে বলল ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর পর এখন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ছাড়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যদিও গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করার পর লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে খান ইউনিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এবার এই শহরও ছাড়তে বলা হলো।
ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন এই নিদের্শনার ফলে ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ গাজা এলাকাতেও খুব তাড়াতাড়ি অভিযান শুরু করা হবে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫০০০ শিশু রয়েছে।
এদিকে শনিবার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। কিন্তু খান ইউনিসে লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরায়েল। সেখানে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা মার্ক রেজেভ বলেছেন, ‘আমরা মানুষজনকে অন্যত্র চলে যেতে বলছি, কারণ আমরা চাই না বেসামরিক মানুষজন ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যাক।’
তিনি বলেছেন, ভূগর্ভস্থ টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিমুর্ল করতে ওই শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার দরকার হতে পারে ইসরায়েলি বাহিনীর।
এদিকে গাজা শহরের প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতাল ছেড়ে শত শত মানুষ চলে গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রোগীও আছেন। সেখানকার কয়েকজন মেডিকেল কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের চলে যেতে বলা হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল তাদের এই দাবির বিরোধিতা করেছে।
আরও পড়ুন
গোলাগুলির মধ্যে অনেক মানুষকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থাকা পথ দিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। হামাসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় দুটি বিস্ফোরণে একসঙ্গে ৮০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছে, তারা জাতিসংঘের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি, তবে তদন্ত করছে। ওই স্কুলটি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।
বিবিসি জাবালিয়ার আল-ফাখৌরা স্কুলের জিওলোকেটেড ফুটেজ ভেরিফাই করে দেখেছে, স্কুলটিতে নারী ও শিশুসহ অনেক মানুষ গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে আছেন। ভবনের বিভিন্ন অংশে মানুষকে মেঝেতে নিশ্চল অবস্থায় পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। বিবিসি বাংলা
টিএম