গাজার ৩৫ হাসপাতালের ২৬টিই বন্ধ হয়ে গেছে
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ২৬টির কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযান চলমান আছে। ইসরায়েলি সৈন্যরা এই হাসপাতালে হামাসের আস্তানা রয়েছে দাবি করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করছে। এর ফলে উপত্যকার বৃহত্তম এই হাসপাতালে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
হাসপাতালে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জেনারেটর। যে কারণে সেখানে আইসিইউ ও ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং রোগীরা প্রাণহানির শঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিশু ও রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।
আর গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলায় আল-শিফা হাসপাতালের একাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় অসুস্থ ও আহত লোকজনের চিকিৎসাসেবায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ইসরায়েলি সৈন্য আল-শিফা হাসপাতালের প্রত্যেকটি বিভাগে তল্লাশি শুরু করেছে। হাসপাতাল ভবনের দক্ষিণের একটি অংশ ইসরায়েলি বুলডোজার গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সৈন্যদের তল্লাশি চালানোর তথ্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। হাসপাতালের ভেতরে অবস্থানরত চিকিৎসক ও রোগীরা সেখানে হামাসের উপস্থিতির তথ্য অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, এবার গাজা উপত্যকার আল-আহলি আরব হাসপাতাল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আহতদের কাছে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসাসেবা দিতে পারছেন না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ২৬টি আর চালু নেই। এছাড়া বাকি ৯টি হাসপাতালে কেবল আংশিকভাবে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে বুধবার গাজায় হামাসের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, উপত্যকার ২৫টি হাসপাতাল আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, গাজা উপত্যকার দুই তৃতীয়াংশ হাসপাতাল একেবারেই চালু নেই।
এসএস