উত্তর গাজা পুরোপুরি বিধ্বস্ত, ইসরায়েলের নজর এখন দক্ষিণে
অব্যাহত ও নির্বিচার বোমা হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব অবকাঠামো ধসিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া জীবন বাঁচানোর কথা বলে— উত্তরাঞ্চলের সব বাসিন্দাকে দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেই নির্দেশনা মেনে নিজ বাড়ি-ঘরসহ সবকিছু ছেড়ে দক্ষিণ দিকে চলে আসেন লাখ লাখ মানুষ।
উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এখন দক্ষিণ দিকে নজর দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তারা এখন দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের চারটি শহরে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে বিমান থেকে লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। সেখানে তারা বলেছে, হামাসের কার্যক্রমের কারণে এই অঞ্চলের চারটি শহর বনি সুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং কারারায় ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চালাতে হবে; ফলে আপাতত বাসিন্দাদের এখান থেকে সরে যেতে হবে।
আরও পড়ুন
লিফলেটে সাধারণ মানুষকে খান ইউনিস শহরের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় তারা।
আর দক্ষিণাঞ্চলের চার শহরের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে— গাজায় হামলার ব্যপ্তি বৃদ্ধি করবে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। ওই শহরগুলোতে লিফলেট ফেলার সঙ্গে ব্যাপক বোমা হামলাও চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে দক্ষিণাঞ্চলে চলে আসায় বর্তমানে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেখানকার বাসিন্দাদের যদি আবারও সরে যেতে বলে তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে গত ৭ অক্টেবর ব্যাপক হামলা চালায় হামাস। এর প্রতিশোধ নিতে হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেয় ইসরায়েল সরকার। সেই হুমকি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থল হামলা শুরু করে তারা। টানা বিমান হামলা ও স্থল হামলা চালিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল গাজা সিটির প্রায় সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা ছাড়াও সেখানকার হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে তারা।
ইসরায়েলের এসব নির্বিচার হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই