যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় ফিরলেন ডেভিড ক্যামেরন
মাত্র এক দিনের মধ্যে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায়। সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। মন্ত্রণালয় বদল হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলির এবং ফের মন্ত্রিসভায় ফিরে এসেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে টাইমস সাময়িকীতে ব্রিটেনের ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীদের ব্যাপক বিষোদ্গার করে কলাম লেখায় বিরোধীদল লেবার পার্টির এমপি ও নেতাদের তোপের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টিতেও তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছিল।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আহ্বানে সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন সুয়েলা। তার পদত্যাগের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনা হয়েছে জেমস ক্লেভারলিকে, যিনি এতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ক্যামেরন।
নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানাননি ক্লেভারলি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘আমি গত সাত বছর সামনের সারির রাজনীতিতে ছিলাম না। তবে আশা করছি, আমার টানা ১১ বছর কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বে এবং ছয় বছর দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার অভিজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে কাজে আসবে।’
‘ব্যক্তিগতভাবে কিছু ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দ্বিমত ছিল— কিন্তু আমার মতে তিনি একজন দক্ষ এবং দৃঢ় মানসিকতার নেতা।’
এদিকে, সুয়েলা ব্রেভারম্যান বরখাস্ত হওয়ার ২ ঘণ্টা পর পদত্যাগ করেছেন পরিবহনমন্ত্রী জেসি নরম্যান। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উদ্দেশে এক এক্সবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে দেশের জন্য দায়িত্বপালন করা অনেক বড় সম্মানের ব্যাপার।’
সুনাকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি আপনার শান্ত, মনযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদী নেতৃত্বগুণ দিয়ে এক বছর ধরে দেশের সেবা করছেন— সেজন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।’
সূত্র: বিবিসি।
এসএমডব্লিউ