১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্প, জরুরি অবস্থা ঘোষণা আইসল্যান্ডে
মাত্র ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্পের পর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ড। অধিকাংশ ভূমিকম্প ঘটেছে রাজধানী রিকজাভিক ও তার আশপাশের এলাকা এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় উপদ্বীপ রেইকজানেসে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা (আইএমও) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলের রেকর্ড অনুযায়ী এসব ভূমিকম্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২। রেইকজানেসের উপকূলীয় শহর গ্রিন্ডাভিকে রেকর্ড করা হয়েছে এ ভূকম্পটি।
উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত বরফাচ্ছাদিত দেশ আইসল্যান্ডের আয়তন ১ লাখ ৩ হাজার ১২৫ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৩ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৮ জন। এই জনসমষ্টির অধিকাংশই বাস করেন রাজধানী রিকজাভিকে।
ভূমিকম্পের ধাক্কায় গ্রিন্ডাভিকের বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, ভেঙেচুরে গেছে শহরটির প্রধান কয়েকটি সড়কও। পুলিশ ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কর্মীরা শহরটিতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন
নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে আইসল্যান্ডের বেসামরিক সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য ভূমিকম্প অব্যাহত থাকতে পারে এবং সামনে আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্প আসতে পারে। সেসব ভূকম্পের জেরে অগ্নুৎপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে।
‘সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এ পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হচ্ছে এবং নাগরিকদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
আইএমও’র রেকর্ড অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আইসল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় মোট ২৪ হাজার ছোটো ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত অক্টোবর থেকে টানা ভূমিকম্পের জেরে ভূগর্ভস্থিত লাভা উপরে উঠে আসছে এবং বর্তমানে বেশ কিছু এলাকায় ভূপৃষ্টের মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে অবস্থান করছে লাভার মজুত।
‘ভূমিকম্প অব্যাহত থাকবে এবং তার জেরে একসময় ভূপৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে লাভার উদ্গীরণ হওয়া শুরু হবে। তখন দেখা দেবে মূল বিপদ,’ বলেছেন এক কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, আইসল্যান্ডে মোট সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যা ৩৩টি। ইউরোপ মহাদেশভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দেশটিতে।
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ