লেবাননে সাঁজোয়া যান পাঠাচ্ছে ফ্রান্স
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দেশ লেবাননে। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে টহল পরিচালনার জন্য লেবাননের সামরিক বাহিনীকে কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স।
সোমবার ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্টিয়েন লেকোর্নো দেশটির জাতীয় দৈনিক ল’রিয়েন্ট লে জৌরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু সাঁজোয়া যান লেবাননে পাঠাচ্ছি। এসব সাঁজোয়া যান দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহলের জন্য সহয়াক হবে। লেবানের সঙ্গে আমাদের মিত্রতা ও অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে যান পাঠানো হচ্ছে। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, লেবাননের সঙ্গে আমাদের মিত্রতা অটুট থাকবে।’
লেবাননের সামরিক বাহিনীকে ওষুধ সহায়তা প্রদান করা এবং বাহিনীর সদস্যরা যেন স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে, সেজন্য শিগগিরই দেশটির সরকারের সঙ্গে একটি যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী লেবাননেও উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল সীমান্ত ও তার আশপাশের এলাকায় নিয়মিতই সহিংসত হচ্ছে।
এই সংঘাতের জন্য মূলত শিয়া মুসলিমদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করছে পশ্চিম বিশ্ব। লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অংশ না নিয়েও দেশটিতে বিপুলি পরিমাণ ক্ষমতার অধিকারী এই হিজবুল্লাহ।
গত শতকের সত্তরের দশকের শেষ থেকে লেবাননের সঙ্গে সংঘাত বাড়তে থাকে ইসরায়েলের। ১৯৭৮ সালে লেবাননকে সহায়তার জন্য জাতিসংঘেল উদ্যোগে ইউএন ইন্টেরিয়াম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) গঠিত হয়। বর্তমানে ইউনিফিলে প্রায় ৭০০ ফরাসি সেনা কর্মরত রয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ