ভেঙে পড়েছে গাজার চিকিৎসাব্যবস্থা
অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালগেুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বিবৃতিতে হামাস বলছে, গাজার ৩২টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টিতে এখন সেবাদান পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাকি হাসপাতালগুলোর সেবাদান সক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে। বেশিরভাগ হাসপাতালে জ্বালানির মজুত তলানি নেমেছে।
হাসপাতালের দরজা খোলা থাকার মানে এই নয় যে, সেখানে আহতদের জন্য সেবাদান করা হচ্ছে, বিবৃতিতে সতর্ক করে দিয়েছে হামাস।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় ৫ হাজার ৭৯১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। তারা টানা ১৮ দিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিহত ৫ হাজার ৭৯১ জনের মধ্যে শিশু রয়েছে ২ হাজার ৩৬০ জন। অর্থাৎ ইসরায়েলের হামলায় যেসব ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ অব্যাহত থাকে তাহলে কয়েকদিন পর সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা যেতে পারে। যদিও এসব সংস্থার প্রচেষ্টায় ও বিভিন্ন দেশের চাপের কারণে এখন মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে স্বল্প পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে।
এসএস