লেহ, লাদাখ ও কারগিলে বিজেপির হার
ভারতের লাদাখে স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের নির্বাচনে জয় পেয়েছে এনসি-কংগ্রেস জোট। আর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মাত্র দুইটি আসনে জিতেছে। লেহ, লাদাখ ও কারগিলের জন্য এই স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদ।
পাঁচ বছর পরপর এখানে ভোট হয়। এবার ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস জোট করে লড়েছিল। এনসি জিতেছে ১২টি ও কংগ্রেস ১০টি আসনে। বিজেপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছে দুইটি করে আসন।
ফলে ২৬ সদস্যের পার্বত্য পরিষদে বোর্ড গঠন করবে এনসি-কংগ্রেস জোট।
ভোটের আগে এনসির আবেদন ছিল, ৩৭০ ধারা বিলোপসহ বিজেপির নীতির প্রতিবাদে যেন মানুষ ভোট দেন। এমনিতে লাদাখে মুসলিমদের সংখ্যা ৪৬ শতাংশ, বৌদ্ধরা ৪০ শতাংশ ও হিন্দুরা ১২ শতাংশ।
আবার লেহতে বৌদ্ধরা প্রায় ৪৪ শতাংশ, হিন্দুরা ৩৫ শতাংশ। আর কারগিলের ৭৭ শতাংশ মুসলিম, ১৪ শতাংশ বৌদ্ধ, সাত শতাংশ হিন্দু ও প্রায় এক শতাংশ শিখ। তিনটি এলাকাতেই বিজেপির পরাজয় হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল বলেছেন, ‘দশ বছর পর কংগ্রেস আবার এখানে ভালো ফল করল। ইন্ডিয়া জোটের শরিক এনসির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা সুইপ করেছে।’
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ‘গত মাসে লাদাখে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিলেন। তার প্রত্যক্ষ প্রভাব এই নির্বাচনে পড়েছে।’
এরপরই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর প্রতিক্রিয়া, ‘রাহুল গান্ধী নিজে যে দাবি করেননি, সেটা জয়রাম করছেন। বিজেপি গতবার তো মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। এবার তারা দুইটি আসন পেয়েছে। ভোটও গতবারের তুলনায় বেশি পেয়েছে।’
সাবেক মন্ত্রী ও কংগ্রসের রাজ্যসভা সংসদ সদস্য পি চিদম্বরম বলেছেন, ‘মানুষ বিজেপির কর্মসূচি ও ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।’
সিপিএম নেতা তারিগামিও জানিয়েছেন, ‘এই জয় প্রমাণ করল, ৩৭০ ও কাশ্মির নিয়ে বিজেপির প্রচারণা মানুষ খারিজ করে দিয়েছে।’
ওমর আবদুল্লার দবি, ‘এনসি ও কংগ্রেসের শক্তিশালী জোটের সামনে পড়ে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। তাদের অগণতান্ত্রিক নীতিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।’
টিএম