বিপদে ইউক্রেন, হারাতে পারে আরেক বড় মিত্রের সমর্থন
শস্য আমদানি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে ইউক্রেনকে আর কোনো অস্ত্র সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন শুরু করে— ঠিক সেদিন থেকেই কিয়েভকে সহায়তা দিয়ে আসছিল দেশটি।
এখন পোল্যান্ডের পর এবার আরেক বড় মিত্র স্লোভাকিয়ার সমর্থন হারানোর শঙ্কায় পড়েছে ইউক্রেন। দেশটির রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে ইউক্রেনকে নতুন করে আর ‘একটি বুলেটও’ দেবেন না।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর স্লোভাকিয়ায় নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে রবার্ট ফিকোর।
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফিকো গত সপ্তাহে এক নির্বাচনী সমাবেশে বলেন, ‘আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা ইউক্রেনে আর একটি বুলেটও পাঠাব না।’
নির্বাচিত হওয়ার পর ফিকো যদি তার কথা রাখেন তাহলে বড় বিপদে পড়ে যাবে ইউক্রেন। কারণ রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করার পর স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে অস্ত্র ছাড়াও আরও অনেক সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া দেশটি কথা দিয়েছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন>>> কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা রাশিয়ার
রবার্ট ফিকো ওই সমাবেশে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে আলোচনার মাধ্যমেই চলমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। কারণ রাশিয়া কখনো সহজেই হাল ছেড়ে দেবে না। তিনি বলেছেন, ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে তাদের যেভাবেই হোক আলোচনায় বসতে হবে। রাশিয়া ক্রিমিয়া ছাড়বে না, যেসব অঞ্চল তারা নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলো কখনোই ছাড়বে না।’
অবশ্য ফিকো যে নিশ্চিতভাবে স্লোভাকিয়ার নেতৃত্বে আসবেন এটি নিশ্চিত নয় এবং ক্ষমতায় আসলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না; তাকে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়তে হবে। এছাড়া অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, স্লোভাকিয়ার মতো ছোট দেশ ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।
তবে ৫৯ বছর বয়সী ফিকোর সাম্প্রতিক বক্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যখন যুদ্ধ শেষ হবে তখন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, যদি কখনো ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়; তাহলে এতে ভেটো দেবেন তিনি।
এমনকি রাশিয়ার মতো তিনিও দাবি করেছেন, এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেই ২০১৪ সালে। তখন ইউক্রেনের নব্য নাৎসিররা ডনবাস এবং দোনেৎস্কে রাশিয়ার নাগরিকদের হত্যা করা শুরু করেছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই